রংপুর মহানগর ২নং সিটি কর্পোরেশনের অভিরাম বাবু পাড়া শ্রী শ্রী গিরীশ চন্দ্র সাধুর ব্রহ্ম আশ্রমের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠলে এ ব্যাপারে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মহানগর ভূমি অফিস ও ডিসি অফিস বরাবর আত্মসাৎ কারীদের নামে অভিযোগ করনে।
এ ব্যাপারে মহানগর ভূমি অফিসের তহশিলদার মোঃ মিজানুর রহমান তদন্তে আসলে তিনি জমি দখলকারী ও অভিযোগ কারীদের জমির সকল কাগজপত্র দেখেন। পরে তিনি দলিল দেখে বলেন মোট সম্পত্তি ৩ একর ৫৮ শতক সম্পত্তি। এরপর ১১/১১/২০ – দাগ নং ৮৯৫,৮৯০,৮৮৯ এই তিন দাগে ১ একর ১৮ শতক জমি আছে। এই ১ একর ১৮ শতক জমি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয় দলিল নং ২২১৯১ দাগ নং ৩ রেজুলেশন মোতাবেক সভাপতি অতুল চন্দ্র রায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলিল তুলে ১ একর ১৮ শত জমি বিক্রি করেন এবং । দলিল নং ১৯৩৯৩-১৩/১১/১৬ দাগ নং ৪৬১,৪৬২ -৩২/৩৪।
শ্রী গিরীশ চন্দ্র সাধু গত ৫/১১/১৯৮৫ তারিখে ২০১৯২ নং দলিল মোতাবেক অভিরাম ব্রহ্ম আশ্রম মন্দিরের নামে ২.৮৪ একর জমি দান করেন। পরে গিরীশ চন্দ্র সাধু মৃত্যুবরণ করেন। রেজুলেশন অনুযায়ী ২৩/১১/১৬ দলিল নং ১৯৩৯৩ জমি বিক্রয়ের পূর্বে অত্র মন্দির কমিটির সভার মাধ্যমে রেজুলেশন হয়েছে কি না জানা গেল না।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে তহশীলদারের সামনে বিভিন্ন ভাবে হেয়প্রতিপন্ন ভাবে কথা বলেন শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র রায় ও মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, শিক্ষক, মনোহর হাই স্কুল এবং মোঃ জয়নাল মিয়া । এরা জমি বিক্রয়ের পক্ষ নিয়ে নানান ভাবে কথা বলে হুমকি দেন নতুন ব্রহ্ম ট্রাষ্ট কতৃক অনুমোদিত নতুন কমিটিকে মন্দরটি সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায় মন্দিরে ভিতেরে চাষাবাদ আবাদ করছেন মোঃ ওয়াইজ মিয়া। তদন্তে জানা যায় জোর পূর্বক তিনি এই মন্দিরের ভিতরে চাষাবাদ করেন।
বর্তমান ব্রহ্ম ট্রাষ্ট নতুন কমিটি সভাপতি শ্রী বকুল চন্দ্র রায় এবং সাধারণ সম্পাদক কবিন চন্দ্র রায় বলেন আমরা আইনের মাধ্যমে শ্রী শ্রী গিরীশ চন্দ্র সাধুর এই ব্রহ্ম আশ্রমের সম্পত্তি উদ্ধার করতে চাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।